বরফকে কাজে লাগিয়ে বাস্তবিকই অপরূপ সুন্দরি হয়ে ওঠা সম্ভব। তবে তার জন্য জানা চাই সঠিক পদ্ধতি। কী সেই পদ্ধতি? সে সম্পর্কেই বিস্তারিত নিচে দেয়া হল। যেমন…
১. ত্বককে টানটান রাখতে: একটা পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে এক টুকরো বরফ নিন। এবার সেটি ভাল করে মুখে ঘষুন কিছুক্ষণ। প্রচন্ড ঠান্ডা হওয়ার কারণে বরফ ঘষা মাত্র মুখে রক্ত চলাচল খুব বেড়ে যায়, ফলে ত্বক টানটান হয়ে ওঠে।এর ফলে বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর হয়।
২. চোখের ফোলাভাব কমায়: একটা কাপড়ে এক টুকরো বরফের টুকরো নিয়ে নিন। তারপর সেই কাপড়ের সাহায্যে বরফটা ভাল করে চোখের তোলায় ঘযতে থাকুন। এমনটা করলে চোখের ফোলা ভাব যেমন কমে যাবে, তেমনি ডার্ক সার্কেলের সমস্যাও দূর হবে। আসলে বরফ ঘষায় সঙ্গে সঙ্গে চোখের তলায় রক্ত চলাচল খুব বেড়ে যায়। যে কারণে সমস্যাগুলি কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, ত্বককে রিজুভিনেট করার মধ্য দিয়ে আরও নানা রকমের ত্বকের রোগ সারাতেও বরফের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
৩. ব্রণের প্রকোপ কমায়: সারা মুখ ব্রণে ভরে গেছে? চিন্তা নেই, উপায় আছে। এক টুকরো বরফ নিয়ে মুখের যেখানে যেখানে ব্রণ হয়েছে সেখানে ভাল করে লাগান। দেখবেন নিমেষে মুখ পরিষ্কার হয়ে যাবে। আসলে বরফ ঘষার পর মুখে রক্ত প্রবাহ খুব বেড়ে যায়। যে কারণে ব্রণগুলি শুকিয়ে যেতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, বরফ ঘষার সময় কোষেদের জন্মহারও খুব বেড়ে যায়। ফলে ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
৪. দীর্ঘ সময় মেকআপ ধরে রাখতে: মেকআপ শুরু করার আগে এক টুকরো বরফ নিয়ে ভাল করে মুখে ঘষে নিন। যখন দেখবেন জলটা একেবারে শুকিয়ে গেছে, তখন মেকআপ শুরু করুন। এমনটা করলে ফাউন্ডেশন খুব ভাল ভাবে ত্বকে শোষিত হয়। ফলে সহজে মেকআপ নষ্ট হতে চায় না।
৫. লালচে ভাব কমায়: নানা কারণে ত্বকে প্রদাহ বা জ্বালা হলে সারা শরীর লাল লাল দাগে ভরে যায়। এমনটা হলে সঙ্গে সঙ্গে একটা বরফের টুকরো নিয়ে যেখানে যেখানে লাল হয়েছে, সেখানে ঘষুন। এমনটা করলে প্রদাহ কমতে শুরু করবে, ফলে লাল ভাবও ধীরে ধীরে কমে যাবে।
৬. পুড়ে যাওয়া ত্বককে স্বাভাবিক করে: বরফ প্রচন্ড ঠান্ডা হওয়ার কারণে এটি ত্বকে ঘষলে সে জায়গার তাপমাত্রা নিমেষে কমে যায়। ফলে সূর্যালোকের কারণে পুড়ে যাওয়া ত্বকও স্বাভাবিক হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ত্বকের প্রদাহও হ্রাস পায়।
তথ্য ও ছবি
ইন্টারনেট